বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও এক সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী শফিকুল ইসলাম শাহিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জের ঘাইটাল বাসষ্ট্র্যান্ড এলাকায় কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, রুমা আক্তার (৩৮) নাফিয়া আক্তার (১২)। এ ঘটনায় আরও এক মেয়ে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাগালে ভর্তি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ঘাইটাল বাসষ্ট্র্যান্ড এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম। এরআগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের ফকিরবাড়িতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের ঘন্টি ফকিরবাড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির গৃহকর্তা শফিকুল ইসলাম শাহিন। এ সময় তার বড় কন্যাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে তার চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে আসলে ঘাতক পালিয়ে যায়।
এসময় আহত বড় মেয়ে সাদিয়া আফরিন লাবণ্যকে (২১) উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মমেক হাসপাতাল পাঠান। তবে কি কারণে হত্যাকান্ড, তা জানা যায়নি। যেকোন বিষয় নিয়ে কলহের জেরে হত্যাকান্ডটি হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে স্বামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে কিশোরগঞ্জের ঘাইটাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামানের নির্দেশনায় কোতোয়ালী ওসি মাহমুদুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি তদন্ত খন্দকার শাকের আহমেদ, এসআই মিনহাজ, নিরুপম নাগ। তবে ডিবি ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে আরেকটি টিম একই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বলেও জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে হত্যা চেষ্টার শিকার বড় মেয়ে সাদিয়া আফরিন লাবণ্য বাদী হয়ে পিতা শফিকুল ইসলাম শাহিনে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।